কুষ্টিয়ার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ৩ আসামির শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন
১৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অপর তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আসামিদের করা জেল আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরদিন ভুক্তভোগীর বাবা পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
ওই মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। সে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এরই মধ্যে আসামি কামু ওরফে কামরুল মারা যায়। এরপর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট চার জনেরই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের শুনানি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
আর আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। সেই সাথে এদের তিনজনকে কারাগারের কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।