কুড়িগ্রামের সেই ডিসিসহ ৪ জনের বেতন বন্ধ
১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে দাবি করা হয়, তার বাড়িতে অর্ধেক বোতল মদ ও একশ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। ওই রাতেই মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ দিয়ে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত তাকে জামিন দেন।
সাংবাদিক হেনস্থার ওই ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করে। এর নেপথ্যে থাকা কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তাকে ১৫ মার্চ ওএসডি করা হয়। অন্য কর্মকর্তা হলেন- সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিন, রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম।
সোমবার বিভাগীয় মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ডিসিসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ওএসডি করা হয়েছে। ওএসডি থাকাকালে তাদের বেতন বন্ধ থাকবে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। কুড়িগ্রাম থেকেও একটি মামলা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের শুনানির সম্মুখীন হতে হবে। দোষের মাত্রা ও সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও নলেন, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা থাকবে। এটা উদাহরণ হবে সবার জন্য। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত শেষে দুদককেও তাদের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য বলা হবে।