গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃতদের ৭৬% ভ্যাকসিন নেয়নি
ডায়বেটিস, হৃদরোগসহ কোমর্বিডিটিতে ভোগা রোগীদের মধ্যে করোনায় মৃত্যু বেশি। নন-ভ্যাকসিনেটেড রোগীদেরও করোনায় মৃত্যু বেশি। এক সপ্তাহে করোনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়নি ৭৬.৫%। গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মহামারির ৪০তম সপ্তাহে (৪-১০ অক্টোবর) করোনায় মারা গেছেন ১১৫ জন। এ সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০.২% কমেছে আর নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে ৩৩.৫%।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ৮ জন। এর মধ্যে এক ডোজ নিয়েছিলেন ৪ জন ও দুই ডোজ নিয়েছিলেন ৪ জন। মৃতদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেননি ৮৮ জন আর ১৯ জনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত এক সপ্তাহে মারা যাওয়াদের মধ্যে ডায়বেটিসে আক্রান্ত ছিলেন ৬০.৩%, হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন ৫৪.৪%, হৃদরোগে ১১.৮%, ক্যান্সারে ৫.৯%।
প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, "ভ্যাকসিন করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে না পারলেও মৃত্যু কমায়। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক ও কোমর্বিডিটিতে ভোগা রোগীদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। এখন সংক্রমণ কমেছে, দ্রুত বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনলে পরে আবার সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু কম হবে"।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে জুলাই-আগস্ট দুইমাস টানা শতাধিক মৃত্যু হলেও সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে তা কমেছে।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৫৯৯ জনের দেহে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ১৯৩টি কোভিড পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শতকরা ২ দশমিক ৫৮ জনের মধ্যে।
এর আগে গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।