ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: বরিশালে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায়, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থেকে উপকূলীয় লোকজনকে ‘জোর করে’ হলেও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় এক জরুরী সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “মানুষের জীবনরক্ষার জন্যই তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কারণ উপকূলীয় বেশকিছু এলাকার মানুষ তাদের মালপত্র ছেড়ে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখাচ্ছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জনগণের মালপত্রের হেফাজতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবেন।”
“আর উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে যেসব এলাকায় বাধ নেই, সেখানে জ্বলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো সচেতনতামূলক কাজ করছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ করছে। আমরা চাই সবাই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাক।”
তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিভাগে দুই হাজার ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে মোট ১৭ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৩১৭টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান, বিভাগের সব জেলার সংশ্লিষ্ট সব দফতরগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বরিশাল নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেয়া রয়েছে।