জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা শুরু
সারাদেশে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
সকাল ১০টা থেকে দেশের ২ হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। ২৯ হাজার ২৬২ প্রতিষ্ঠানের ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা গত সপ্তাহে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এগুলো হলো- পরীক্ষার্থীদের ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত, পালি বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এ সময়ের পরে হলে প্রবেশ করতে দিলে তার বা তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেলিপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।
এরই মধ্যে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।