জেকেজি'কে নমুনা সংগ্রহ থেকে বাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জেকেজি হেলথ কেয়ারকে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ, কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণ দেয়ার অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত এপ্রিলে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি পায় জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা (জেকেজি) হেলথকেয়ার।
জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করত জেকেজি।
এক্ষেত্রে শর্ত ছিল, সরকার–নির্ধারিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। জেকেজি হেলথকেয়ার, ওভাল গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন।
তবে সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করাসহ নিজেদের ইচ্ছেমত ভুয়া কোভিড সনদ দেওয়ার অভিযোগে সংগঠনটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশি সূত্র জানিয়েছে, অন্তত ৩৭ জনকে ভুয়া ফল দেয়ার বিষয়টি তারা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের স্বার্থে অভিযানকালে পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ এবং করোনার নমুনা সংগ্রহের তিন হাজার কিট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তল্লাশির সময় মেয়েদের ব্যাগ থেকে মাদক উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানের এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল চৌধুরী এবং তার দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খান।
এরপরেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজির অনুমোদন বাতিল করলো।