ডিবি থেকে সরিয়ে নেওয়া হল এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে
চিত্রনায়িকা পরীমনির দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হয়েও তার সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা'র অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন শিথিলকে।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের এক বার্তায় বলা হয়, "মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির সকল কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত করা হয়েছে।"
পরে গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে বদলি করার কথা জানানো হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের আরেক বার্তায়।
এর আগে সকালে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওমর ফারুক বলেন, 'ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিআইডি।'
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে অন্য এক মামলার বাদী পরিমনির মেলামেশার বিষয়টি আমাদের তদন্তেও আসবে। আমরা সেসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সত্যিকারের ঘটনা খুঁজে বের করবো। আইনের ঊর্ধ্বে না। সে যেই হোক না কেন সেটা তদন্তকারী কর্মকর্তা হোক বা যে কেউ হোক, আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্যি ঘটনা বের করতে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে সাকলায়েনের যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এসেছে, তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনের সরকারী নাম্বারে ফোন করা হলে, তিনি ফোন জমা দিয়ে বেশ কয়েকদিনের ছুটিতে গেছেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার থাকলে ডিসির সঙ্গে কথা বলার অনুরোধও করেন তিনি।
গত ১৩ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি। এর পরদিনই উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে। পরে এই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন থেকেই গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমণির। এরপর থেকেই শুরু হয় যোগাযোগ।