ঢাকার উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বেশি বেশি অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পিক টাইম চলছে এখন। তাই টেস্টের চাহিদা বাড়ছে। যেখানে টেস্টের চাহিদা বেশি সেখানে বেশি বেশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করতে হবে। এজন্য টেস্ট করতে আসা ব্যক্তিকে প্রস্তাব করার প্রয়োজন নেই যে অ্যান্টিজেন নাকি আরটি-পিসিআর টেস্ট করবে। সবাইকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পর যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তাদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং দ্রুত অধিক সংখ্যক মানুষকে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়া যাবে। ফলে সংক্রমিত ব্যক্তিদের দ্রুত আইসোলেট করা যাবে।
ঢাকা শহরের উচ্চ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বেশি বেশি অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। এখন শুধু ঢাকার বাইরে যেসব এলাকায় আর-টিপিসিআর ল্যাব নেই সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় রোগী বেশি আর ঢাকায় টেস্টের জন্য চাপও বেশি। মুগদা মেডিকেল কলেজ, বিএসএমএমইউ থেকে শুরু করে ব্রাকের স্যাম্পল কালেকশন বুথেও প্রতিদিন টেস্টের জন্য দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। রোগীরা জ্বর নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। এসব জায়গায় অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হলে অল্প সময়ে অধিক মানুষকে টেস্ট করা যাবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের কিট সংকট নেই। আর সংকট দেখা দিলে আমদানি করা যাবে। আরটি-পিসিআর এর মত অ্যান্টিজেন টেস্টে অত ব্যবস্থাপনা বা দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হয়না। অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য দক্ষ জনবল আমাদের স্বাস্থ্যখাতে আছে।
এখন টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে, তবে আরো বাড়াতে হবে। যদিও কয়েকদিন ধরে টেস্ট কম হচ্ছে। টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত অধিক মানুষকে শনাক্ত করে আইসোলেটেড করতে পারলে লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে। ঢাকার সব হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা গেলে রোগীর ভোগান্তি কমবে।
বাড়িতে বয়স্ক বা অসুস্থ রোগীদের কোভিড টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহে যে ৩০০ টাকা নেয় সেটা ঠিক আছে।তবে লাইনে দাঁড়িয়ে যারা কোভিড টেস্ট করে তাদের টেস্ট ফ্রিতে করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। বেসরকারি পর্যায়েও টেস্টের খরচ কমানো গেলে ভালো হয়।
আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য টেকনোলজিস্ট সংকট এখনো রয়েছে। এখন যারা আছে ১৩ মাস ধরে রাত দিন কাজ করতে করতে তারা ক্লান্ত হয়ে গেছে। টেকনোলজিস্ট আরো বাড়াতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য টেস্ট করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেট করা জরুরি।
- ডা. মো. মুশতাক হোসেন, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা