দুই বছর বাসায় যাননি সম্রাট, তবে স্ত্রীকে ভরনপোষণ দিতেন
ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তারের পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শারমিন চৌধুরী। এই দম্পতির একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তিনি মহাখালীর ডিওএইচএসের এক বাসায় থাকতেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি দল সম্রাটের স্ত্রীর বাসায় অভিযানে যায়।তবে অভিযান থেকে বেরিয়ে এসে র্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাসায় ‘অবৈধ কিছু না পাওয়ার’ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা অবৈধ কিছু পাওয়া যায় কি না তার জন্য এখানে অভিযান চালিয়েছি, তবে এখানে টাকা বা অবৈধ কিছু পাইনি।”
র্যাবের অভিযানের পর সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন সাংবাদিকরা।
শারমিন জানান, গত দুই বছর যাবত সম্রাট মহাখালীর ওই বাসায় না গেলেও তার ‘যখন যা প্রয়োজন হয়েছে তা মিটিয়েছেন’।
তিনি বলেন, “২০০১ সালের জুলাইতে আমাদের বিয়ে হয়। তবে তার সঙ্গে পরিচয় তার আগে থেকেই। আমি গৃহিণী। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত নই।”
স্বামী ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট সম্পর্কে তিনি বললেন, “সম্রাট খুবই ভালো একজন মানুষ। আমি যখন যা চাইতাম, সবই দিত সে। গত দুই বছর যাবত সে এই বাসায় আসে না। সে চাইলে পূর্ব-পশ্চিম এক করে ফেলতে পারত। তবে সে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে যেন তার শাস্তি হয়।”
তবে সম্রাট যে ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক তা তিনি আগে জানতেন না বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দাবি করেন শারমিন।
তিনি বলেন, “সে যে ক্যাসিনো চালাত সেটা আমি জানতাম না। মিডিয়ায় নিউজ হওয়ার পরই আমি এসব জানতে পারলাম।”
তবে স্বামীর ক্যাসিনো ব্যবসার পেছনেও যুক্তি দেখছেন স্ত্রী শারমিন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, ক্যাসিনো থেকে যে টাকা আসত সেসব দলের নেতাকর্মীদের পেছনেই ব্যয় করত। দলের যেসব মিটিং মিছিল হয় সেগুলোতে তো এমনি এমনি লোক আসে না। টাকা দিয়েই আনতে হয়। তিনি দলের পেছনে প্রচুর শ্রম দিতেন।”
ঢাকা শহরে ক্যাসিনোবিরোধী এই অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান সম্রাটের স্ত্রী শারমিন।