দেশব্যাপী ১৪ দিন জরুরি ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ জাতীয় কমিটির
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ও অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোগের প্রকোপও বেড়ে চলেছে দেশব্যাপী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
তারা বলেছেন, জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
গত বুধবার (২৩ জুন) রাত ৯:৩০ টায় অনুষ্ঠিত কমিটির ৩৮ তম সভায় দেশে কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেছেন তারা।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশটির বেশি জেলায় অতি-উচ্চ সংক্রমণের চিত্র উঠে আসে।
বিশেষজ্ঞদের আলোচনায়, রোগ প্রতিরোধের জন্য খন্ড খন্ড ভাবে গৃহীত কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তারা। এনিয়ে তারা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন ।
প্রতিবেশী দেশটির বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডাউন প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
এই অবস্থায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনের সংক্রমণ ঢেউ রুখতে সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ায় তার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
কমিটি বলেছে, এই রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা ও নিজস্ব টিকা তৈরীর জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।