দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের শরীরে ৯৯ শতাংশের বেশি অ্যান্টিবডি: গবেষণা
চট্টগ্রামে দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন এমন মানুষের শরীরে ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক।
এ ক্ষেত্রে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডির ব্যাপকতা (প্রিভেলেন্স) ও পরিমাণ নির্ণয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "৭৪৬ জন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, রোগীর অভিভাবক, স্বাস্থ্য ও পোশাক কর্মীর ওপর চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ গবেষণা চালানো হয়। যাদের ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে, এরমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ। বাকিরা টিকা গ্রহণ করেননি,"
"করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের ৬২ শতাংশের মধ্যে অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে। উভয় ডোজ গ্রহণকারী ৯৯ শতাংশের বেশি মানুষের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে অ্যান্টিবডি ছিল। এছাড়া উপসর্গহীনভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন রোগীদের শরীরেও ৫০ শতাংশ অ্যান্টিবডি রয়েছে। কিন্তু তাদের অ্যান্টিবডি দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে।"
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের শরীরেও প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এর পরিমাণ গড়ে ৫৩.৭১ ডিইউ/মিলি।
কিন্তু যারা যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শরীরে এর চেয়ে গড়ে প্রায় তিনগুণ বেশি অ্যান্টিবডি (১৫৯.০৮ ডি ইউ/মিলি) তৈরি হয়েছে। আবার যারা দুটি ডোজই নিয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি (২৫৫.৪৬ ডি ইউ/মিলি) পাওয়া গেছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরও কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিবডি শরীরে উপস্থিত থাকে।
সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, "টিকার এই সুফল দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সবাইকে চলমান টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে।"
গবেষণায় আরও যুক্ত ছিলেন- সিভাসুর অধ্যাপক শারমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ হাসান চৌধুরী, চিকিৎসক জাহান আরা, সিরাজুল ইসলাম, তারেক উল কাদের, আনান দাশ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইয়াসির হাসিব, তাজরিনা রহমান ও সীমান্ত দাশ।