নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ল সেতু
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতুর নির্মণ কাজ চলছে। এরমধ্যে একটি সোমবার ভোরে ভেঙে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে সেতুটি নির্মাণ কাজ চলাকালেই ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভেঙে পড়া সেতুটি সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কের জগন্নাথপুর অংশের কোন্দানালা খালের ওপর নির্মিত হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ মিটার।
নিম্নমানের কাজ ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এএম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণ করছে। প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে সেতুটি ধসে গেছে। সেতুর ৫টি গার্ডার ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে নিজ খরচে ভেঙে পড়া গার্ডারগুলো পুনঃনির্মাণের কথা জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সেতু ভেঙে পড়লেও বিকল্প সড়ক থাকায় সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কে যান চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুনামগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা জায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই সেতুগুলোর কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএম বিল্ডার্স। প্রায় দুই বছর যাবত সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিদিন ৩০-৪০জন শ্রমিক নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন।
সওজ জানায়, সোমবার ভোরে অন্যস্থানে তৈরি করা গার্ডার সেতুর পাটাতনের উপর বাসানের কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এসময় চারটি হাইড্রোলিক জ্যাকের একটি বিকল হয়ে গেলে সেতুটি ধসে গিয়ে খালে যায়।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সুয়াইবুর রহমান বলেন, ছোট্ট একটি সেতুর কাজ দুই বছরেও শেষ হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত ধীর গতিতে ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে। একারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে। তদন্ত করলে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়বে।
তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএম বিল্ডার্সের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পুরোটা আমরা বহন করব এবং খুব দ্রুত সেতুটি আবারও নির্মাণ করা হবে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, গার্ডার ধসার ফলে সেতুর মূল কাঠামোর কোন ক্ষতি হয়নি। ধসে যাওয়া গার্ডারগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজ খরচে অপসারণ করে নতুন করে করে গার্ডার বসিয়ে দিবেন।