প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
করোনায় রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে। একইসঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বণ্টন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনর্বণ্টন করা যায়, আমরা সে দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করবো।'
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে এবং রোগী সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।'
নাজমুল ইসলাম বলেন, 'সংক্রমণের উচ্চমুখী এই প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, জুলাইয়ে রোগী সংখ্যা এপ্রিল ও জুন মাসকে ছাড়িয়ে যাবে। লকডাউন বা বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবো।'
ভ্যাকসিন নিবন্ধন শুরু হয়েছে
বুধবার বেলা ১০টা থেকে সুরক্ষা ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন চালু হয়েছে বলে জানান ডা. নাজমুল ইসলাম।
বুলেটিনে তিনি বলেন, "শুরুর দিকে অনেক বেশি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে সার্ভারে চাপ তৈরি হয়। কিন্তু যত দিন গড়াবে সেই চাপ কমে যাবে।"
এবার নিবন্ধনের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছরে নামিয়ে আনার পাশাপাশি অগ্রাধিকারের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও প্রবাসীদের যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিকার সঙ্কটে গত ২৫ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যায় টিকার নিবন্ধনও।
ফাইজার-বায়োএনটেক, সিনোফার্ম এবং মডার্নার টিকা আসার পর ফের গণটিকাদান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ২৫৮ জন টিকার জন্য সুরক্ষায় অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার এবং সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে