বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ৩১০০ কোটি টাকা উদ্ধার: হাইকোর্টকে দুদক
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে দুদকের দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়। তবে এই কেলেঙ্কারির বাকি ১ হাজার কোটি টাকার গতিপথ নির্ণয় করে দ্রুততম সময়ে চার্জশিট দেওয়া হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দুদক।
গত ২১ জানুয়ারি বেসিক ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী জামিন আবেদন করেন। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার আট মামলার আসামী তিনি।
৫৬ মামলার একটিতেও দুদক চার্জশীট দিতে না পারায় ওই জামিন আবেদনের শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। একইসাথে একমাসের মধ্যে ৫৬ মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদককে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রতিদেন দেয় দুদক।
তবে মোহাম্মদ আলীকে হাইকোর্ট জামিন দেননি। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। দুর্নীতি মামলায় ১৮০ দিনের মধ্যে দুদকের চার্জশিট দেওয়ার কথা থাকলেও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার একটিরও চার্জশিট দিতে পারেনি দুদক। আর তাই প্রায়ই এর আসামিরা নানা অজুহাতে হাইকোর্টে জামিন চাইতে আসেন।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক কেলেংকারির ৩১০০ কোটি টাকা ফিরেছে সরকারি কোষাগারে। সেটি কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকারের কোষাগারে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেক অভিযুক্তের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করেছে দুদক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাচার করা অর্থের গতি পথ নির্ধারণ করতে না পারায় ফেরানো যায়নি বাকি এক হাজার কোটি টাকা। কেন তদন্ত শেষ করতে এত সময় লাগছে হাইকোর্টে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে দুদক।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে চার বছরে বেসিক ব্যাংকে ৪,৫০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়। টাকার অঙ্কে দেশের ইতিহাসে এককভাবে এটিই সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি।
২০১৫ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন এই কেলেঙ্কারি নিয়ে ৫৬টি মামলা দায়ের করে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই মামলাগুলোতে অভিযুক্ত করা হয়নি।