ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকায় দুজন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ রোগ নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চীনা ভ্যাকসিনের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতার মাধ্যমেই এটিকে প্রতিহত করা সম্ভব।
দেশে প্রথমবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী শনাক্ত হওয়া দিনেই এমন মন্তব্য করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে, আজ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত একজন রোগী বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং আরেকজন 'সাসপেক্টেড' রোগী পাওয়া গেছে বলে জানান বারডেম হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের বিষয়টি বারডেম কতৃর্পক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, 'সাসপেক্টেড' রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরায়। ঐ ব্যক্তি এর আগে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, সাসপেক্টেড রোগী ৫৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ। জ্বর-কাশির মতো করোনা পরবর্তী উপসর্গ নিয়ে এ মাসের ১৭ তারিখে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নতুন কোনো রোগ নয়। ডায়বেটিক, নন-ডায়বেটিক রোগী যাদের ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কোভিড রোগীদের ইমিউনিটি কম, তাই তাদের মধ্যে এ রোগ পাওয়া যাচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই ভারতের চিকিৎসকরা 'মিউকরমাইকোসিস' নামক এক বিরল ও বিপজ্জনক ছত্রাক সংক্রমণের অস্তিত্ব খুঁজে পান, যা 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস' নামেও পরিচিত।
এই মুহূর্তে যারা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অনেকেই হয়তো কোভিড রোগী ছিলেন কিংবা মাত্রই কোভিড থেকে সুস্থ হয়েছেন। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছে অথবা শারীরিক নানা সমস্যা, বিশেষত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারাই এবার এই নতুন রোগের শিকার হচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতজুড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হাজার হাজার রোগী পাওয়া গেছে। ভারতের দুটি রাজ্য ইতোমধ্যেই একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে 'গুরুতর রোগ' হিসেবে অভিহিত করেছে।