ভাড়া নিয়ে তর্কের জের: চলন্ত বাস থেকে স্কুলশিক্ষককে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
ভাড়া নিয়ে তর্কের জের ধরে রহমত উল্লাহ নামে এক স্কুল শিক্ষককে বাস থেকে ফেলে দিয়েছে ওই বাসের সহকারী। এতেই ক্ষান্ত হয়নি চালকের সহকারী, ফেলে দেবার পর গাড়ি দিয়ে পিষে দিয়েছে তার পা।
ভুক্তভোগী রহমত উল্লাহ নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাবিবউল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কোতয়ালী থানাধীন বটতলী পুরাতন স্টেশনের বাসস্টপে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই শিক্ষকের পা, হাত ও মুখে মারাত্মক জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সহকর্মীরা জানিয়েছেন, রহমত উল্লাহর পায়ের অবস্থা গুরুতর। হয়তো আঘাত পাওয়া পা কেটে ফেলতে হতে পারে।
রহমত উল্লাহর সহকর্মী মো. মিজানুর রহমান জানান, রহমত উল্লাহ সদরঘাট এলাকার পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) প্রশিক্ষণার্থী। অক্সিজেন এলাকার নিজ বাসা থেকে পিটিআইয়ে আসা-যাওয়া করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও অক্সিজেন এলাকা থেকে বাসে করে পিটিআই যাওয়ার জন্য ওই বাসে উঠেন। বাসের হেলপার ও চালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্কুল শিক্ষক রহমত উল্লাহ। এ নিয়ে চালক ও হেলপারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তিনি স্টেশন রোডের বটতলি এলাকায় নেমে যেতে চাইলে তাকে নামতে না দিয়ে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং পায়ের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয় বাস। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে নিয়ে গেলে ডাক্তার না পাওয়ায় আবার ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, "শিক্ষককে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ করলে থানায় মামলা হবে। ঘটনা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এ ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।"
এর আগে ১৩ নভেম্বর শুক্রবার রাতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রাম নগরের ইস্পাহানি মোড়ে এক যাত্রীকে বাস থেকে লাথি দিয়ে সড়কের মাঝে ফেলে পালায় ১০ নম্বর রুটের একটি বাস। পরে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে প্রত্যক্ষদর্শীরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে টাইগার পাস মোড়ে বাসটিকে আটকায় পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ ওই বাস-চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে।