মজাদার খাবার হোম ডেলিভারি সেবা চালু করেছে ইভ্যালি
অনলাইনে কেনাকাটায় দেশের অন্যতম বৃহৎ পরিষেবা-ইভ্যালি রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টের মজাদার সব খাবার হোম ডেলিভারি করবে।
নতুন পরিষেবা পরিচালনা করবে ইভ্যালি ফুড এক্সপ্রেস শপ। 'ই-ফুড' নামের এই সেবার মাধ্যমে সিক্রেট রেসিপি, তর্কা, শেফস টেবিলসহ ৩৫টিরও বেশি প্রিমিয়াম রেস্তোরা এবং ৭০টিরও বেশি নন-প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্টের খাবার পাওয়া যাবে বাড়িতেই। অর্ডার করা খাবার সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইভ্যালির জনসংযোগ কর্মকর্তা শাওন সোলায়মান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে 'ই-ফুড' সেবা চালু করে ইভ্যালি। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান এবং ধানমণ্ডি এলাকার গ্রাহকেরাই পাবেন 'ই-ফুড' এর এই সেবা।
তবে আগামী এক সপ্তাহের মাঝে পুরো ঢাকা শহরকেই এই সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সেবাটি চালু করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সিক্রেট রেসিপি, শেফস টেবিল, তর্কা এর মতো স্বনামধন্য এবং জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর সাথে পৃথক পৃথকভাবে এক সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইভ্যালি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ইভ্যালির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানের হেড অব বিজনেস সিরাজুল ইসলাম রানা এবং ই-ফুড বিভাগের প্রধান মুশতাহিদুল ইসলাম বাঁধন উপস্থিত ছিলেন।
ই-ফুড সম্পর্কে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, কঠিন এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবাকে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে, বিভিন্ন রকম সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে ইভ্যালি। তারই একটি অংশ এই এক্সপ্রেস ফুড শপ বা ই-ফুড। আমরা চাই নগরবাসী যেন ঘরে থেকেই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। এরজন্য প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাতের স্পর্শহীন খাবার তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অর্ডার করলে খাবার এবং রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রাহকের অবস্থান অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে ফুড ডেলিভারি করা হবে। নির্ধারিত পরিমাণে ফুড অর্ডার করলে শর্ত সাপেক্ষে ডেলিভারি চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি। বিভিন্ন সময় ইভ্যালি থেকে পাওয়া ক্যাশব্যাক ব্যালেন্স দিয়েও ফুড অর্ডার করা যাবে। আর বিকাশে নতুন পেমেন্ট করলে ২০ শতাংশ হারে ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহক।