মোংলা বন্দরের কার্যক্রমে পড়বে না লকডাউনের প্রভাব
দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ঘোষিত লকডাউনেও মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল সরবরাহ ঠিক রাখতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপসচিব মোঃ মাকরুজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, 'দেশের কল্যাণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময় বদ্ধপরিকর। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ সীমিত, অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসসমূহে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কীকরণমূলক বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
'লকডাউনের মধ্যে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএনএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে,' বলে তিনি জানান।
করোনার মধ্যেও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা চলমান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'লকডাউনের মধ্যে গত এক সপ্তাহে বন্দরে জাহাজ ২১টি আগমন করেছে। ২৬০,৫৬৭ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩৭৩ টিইউজ এবং ৭১১৭ মেট্রিক টন। এছাড়াও এ সময়ে বন্দর থেকে ২৭২টি গাড়ি ডেলিভারি করা হয়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সকলসূচক উর্ধ্বমুখী হওয়ার ফলে বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।'