রপ্তানির অপেক্ষায় মোংলায় ৩ শতাধিক কন্টেইনার
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতি।
দ্রুত ট্রাক, লরি ও কার্গো ভ্যান চালু না হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়বে মোংলার আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বন্দরে জেটিতে রপ্তানির অপেক্ষায় পণ্যবোঝাই প্রায় ৩ শতাধিক কন্টেইনার পড়ে আছে।
তবে লঞ্চ ও মোংলা-ঢাকা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে এ অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীদের।
আজ সোমবারও মোংলা বন্দরে দেশের কোথাও থেকে রপ্তানিযোগ্য কোন পণ্যবাহী পরিবহন আসেনি। এছাড়া জেটির অভ্যন্তর থেকেও কোন ট্রাক বা লরি ছেড়ে যায়নি, বন্ধ রয়েছে বন্দরে আমদানি-রপ্তানিযোগ্য সকল পণ্য পরিবহন। ফলে রপ্তানি পণ্য পরিবহনে একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে মোংলা বন্দরে।
একদিন পরেই মোংলা বন্দরে কন্টেইনার শিপ আসার শিডিউল রয়েছে; অথচ ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত করতে পারেনি রপ্তানিযোগ্য কন্টেইনার। এছাড়া এ বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই কয়েক শতাধিক কন্টেইনার ট্রাক ও লরির অভাবে বন্দর থেকে বেরও হতে পারছেনা। ফলে ব্যবসায়ীদের দৈনিক বড় অংকের একটা অর্থ (লেন্ডিং চার্জ) দিতে হচ্ছে বন্দরকে।
ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন জেটিতে রপ্তানি পণ্য আনা যাচ্ছে না, তেমনি পণ্যবাহী কন্টেইনার প্রস্তুত করে সময়মতো বন্দর থেকে জাহাজে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না।