রামপুরা ব্রিজ এলাকায় আজও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রামপুরা ব্রিজ এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আজও আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এক অভিভাবক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, "এদেশের প্রশাসনের লজ্জা হওয়া উচিত যে পরপর এভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। উল্টো তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাঁধা দিচ্ছে। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, তাও সরকার আমলে নিচ্ছে না।"
আন্দোলনকারীদের একজন সোহাগী বলেন, "আন্দোলনে বহিরাগত ঢুকলে তাদেরকে দমন করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাদেরকে চিহ্নিত কিংবা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করবো।"
শিক্ষার্থীরা সাড়ে দশটার দিকে আন্দোলন শুরু করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে স্থান পরিবর্তন করে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াতে বলে। পরে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এক পাশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
তবে আন্দোলনকারীরা আজ কোনো বাসের লাইসেন্স কিংবা চলাচলে বাধা দিচ্ছে না। বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর (সোমবার) রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয় একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়।
রামপুরা বাজার সংলগ্ন রাস্তা পারাপারের সময় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস সেদিন দুর্জয়কে চাপা দেয়।
তার আগে গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান।
এক সপ্তাহ না পেরোতেই এভাবে দুইজন শিক্ষার্থীর সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফুঁসে ওঠে রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে তারা তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচী চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে তখন।