রিশার হত্যাকারীর ফাঁসির রায়
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যাকারী ওবায়দুল খানকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহষ্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস পাল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, আলোচিত এ মামলার রায় প্রদান উপলক্ষে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গনে ভিড় জমান। তারা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছিলেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট পুরনো ঢাকার বংশালের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রমজান আলীর কন্যা রিশাকে কাকরাইলে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে ও প্রাঙ্গনের বাইরে ওভারব্রিজের উপর কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন ওবায়দুল খান। গুরুতর অবস্থায় কিশোরীটিকে তার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান তিনি।
রিশার মা পরে জানান, পেশায় দর্জি ওবায়দুলের ইস্টার্ন মল্লিকার দোকানে পোশাক বানাতে মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন রিশা। সে সুবাদে পরিচয় থেকে তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন আসামী। রিশার দিক থেকে প্রত্যাখ্যান সইতে না পেরে ওবায়দুল তাকে স্কুল প্রাঙ্গনেই আক্রমণ করেন।
২৪ আগস্ট, ২০১৬ রিশার মা বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রিশার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।
রিশাকে হত্যার পরপরই দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মীরাটঙ্গি গ্রামের ছেলে ওবায়দুল ঢাকা ছেড়ে নীলফামারীতে চলে যান। দেশজুড়ে আলোড়নের মুখে ৩১ আগস্ট পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ওবায়দুল রিশাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল রিশা হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। এ মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।