রূপগঞ্জ অগ্নিকাণ্ড: কারও গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে মালিক কিংবা পরিদর্শন ব্যবস্থায় কারও গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করবো। এই কারখানায় কোনো শিশু শ্রম ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
শুক্রবার (৯ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া আগেই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শককে (সেইফটি) প্রধান করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্টেডশন তহবিল থেকে ২ লাখ এবং চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রূপগঞ্জ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন তিনি।
এ সময় শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দুটি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে।