শিক্ষানীতি ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, প্রায় ১০ বছর আগে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এক দশক একটি দীর্ঘ সময়। এই সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই এখন সময় এসেছে শিক্ষানীতিকে সংশোধন, পরিমার্জন ও সংযোজন করার। এলক্ষ্যে সরকার শিক্ষানীতি সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আজ বুধবার (২৬ আগষ্ট) পরিকল্পনা কমিশনের আয়োজনে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে 'এডুকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড এগ্রিকালচার ট্রান্সফর্মেশন' শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন প্রয়োজন গুণগত মান অর্জন । সকল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একটি সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
দীপু মনি জানান, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল বিদ্যা, সাহিত্য এবং গণিতের মতো বিষয়ে এর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে। এজন্য সরকার সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, যোগাযোগ দক্ষতা, টিম বিল্ডিং-সহ বিভিন্ন গুণাবলি অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেছে।
অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের কর্মক্ষেত্র এত পরিবর্তন হবে যে- বর্তমানে অর্জিত জ্ঞান হয়তো ভবিষ্যতে আর প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে কর্মজীবীদের পক্ষে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে; যাতে করে কোনো কর্মজীবী যেকোনো সময়, যেকোনো পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে রিস্কিল এবং আপস্কিল করতে পারেন। তারা যেন অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারেন- আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সে সুযোগ রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. শামসুল আলম। ড. শামসুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ দেশের শীর্ষ শিক্ষাবিদেরা।