সংবাদ সম্মেলনে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিল হেফাজত
ভোলার ঘটনায় জড়িতদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরী।
সোমবার দুপুরে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরী এ কথা বলেন।
এছাড়া মঙ্গলবার জোহর নামাজের পর সারাদেশের জেলা শহরগুলোতে হেফাজতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিপ্লব চন্দ্র নামে এক ব্যক্তির মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে এলাকাবাসীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে। এতে ৪ জন শহীদ ও অনেক লোকজন আহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নিহতদের পরিবারগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ দান, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যয় প্রদান ও এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। কটূক্তিকারী বিপ্লব চন্দ্রের বিষয়টি সঠিক তদন্তপূর্বক তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে হেফাজত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
হেফাজতে ইসলাম এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে বলে জানান বাবুনগরী। তদন্তে তারা পেয়েছেন যে, এক ব্যক্তির ফেসবুক থেকে কটূক্তি ছড়ানো হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের দেওয়া ১৩ দফা দাবি মেনে নিত তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না ‘
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আল্লামা তাজুল ইসলাম, পীর সাহেব ফিরোজ শাহ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আশ্রাফ আলী নিজামপুরী, হেফাজতের আমির-পুত্র ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাছ মাদানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।