সকালে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের স্থায়ী জামিন বিকেলে প্রত্যাহার
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার সকালে স্থায়ী জামিন দেওয়ার পর বিকেলে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
জামিন বিষয়ে পুনরায় চূড়ান্ত রুল শুনানির জন্য অবকাশের এক সপ্তাহ পর সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া ও খালেদার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামারুজ্জামান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া সাংবাদিকদের বলেন, আদালত প্রথমে খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছিলেন। তখন আমরা উপস্থিত ছিলাম না। পরে আমরা আদালতকে বলি, এই মামলায় খালেদা জিয়া ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত জামিনে আছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এই মামলার নথি নেই। আমরা রুল শুনানি করতে চাই। তখন আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ প্রত্যাহার করে ফের রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। অবকাশকালীন ছুটি শেষ হলে তারপর রুল শুনানি হবে।
২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে এ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।
পরে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট এ মামলায় নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া একই বছরের ৯ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।