সর্তকতা সংকেত ৬ হলেই উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্তকতা সংকেত ৬ জারি হওয়ার পর সাতক্ষীরার উপকূলীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে ঘিরে উপকূলীয় এলাকায় এপর্যন্ত দুই নং হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে, সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। তবে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনাগ্রহী উপকূলীয় বাসিন্দারা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, উপকূলীয় এলাকার ১০৩ টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্তকতা সংকেত ৬ জারি করা হলে তখন উপকূলীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। তার আগে কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে না। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, ইউনিয়নের ১৫ হাজার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় বিদ্যুত, পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। বাস্তবতা হলো, বসতভিটা ছেড়ে এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। তবে সর্তকতা সংকেত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেকোন উপায়ে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, "ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূল থেকে এখনো প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র। সোমবার (২৪ মে) রাত ৮টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি তার উৎপত্তিস্থল থেকে সামান্য কিছুটা সামনে এগিয়েছে। ঝড়টির মুভমেন্ট এখনো খুববেশি শুরু হয়নি। উপকূলীয় অঞ্চলে এখন দুই নং হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত থেকে উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব শুরু হবে। মেঘ চলে আসবে সেই সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।"