সামরিক শক্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারত এক নম্বরে ও পাকিস্তান দুইয়ে রয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে সামরিক সক্ষমতা নির্ণয়কারী একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
‘মিলিটারি স্ট্রেংথ র্যাংকিং- ২০১৯’ শিরোনামের এই সূচকে দেখা যায়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচে ভূটানের অবস্থান। বাংলাদেশের পরে এ তালিকায় অবস্থান আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের। সূচকে মালদ্বীপকে যোগ করা হয়নি।
১১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
পাওয়ার ইনডেক্সে ০.৭১৫৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে সামরিক সক্ষমতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সূচকে যেকোন দেশের র্যাংকিংয়ের চূড়ান্ত হিসেব তৈরি করতে ‘পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর’ ব্যবহার করা হয়। সামরিক সক্ষমতার হিসেবে এই স্কোরটি ০.০০০০ হলো যথাযথ। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাস্তবিক অর্থে কোন দেশের পক্ষেই এই স্কোর অর্জন করা সম্ভব না।
২০১৯ সালে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৫৬তম অবস্থানে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বাংলাদেশ যদিও সুচকে ১১ ধাপ এগিয়েছে তবে বাংলাদেশের সামরিক সদস্য সংখ্যা (১ লক্ষ ৬০ হাজার) এবং প্রতিরক্ষা বরাদ্দ (১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আগের মতোই আছে।
প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেক দেশের স্থল, নৌ ও আকাশপথে যুদ্ধের সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাংকিং করা হয়েছে। র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যক দেশের অস্ত্রের বৈচিত্রতা এবং তাদের নিজস্ব জনশক্তির বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশগুলোর ভৌগলিক অবস্থান, প্রয়োজনীয় রসদের যোগান, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দেশগুলোর স্থানীয় শিল্পের দিকটিও র্যাংকিংয়েত ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এক নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র
সামরিক সক্ষমতার এই সূচকে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে ০.০৬১৫ পাওয়ার ইনডেক্স রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের পর এ তালিকায় ০.০৬৩৯ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া আছে। ০.০৬৭৩ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যার দেশ চীনের অবস্থান তিনে। চারে অবস্থান বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের।
তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানী র্যাংকিংয়ে সেরা দশে আছে।