সুন্দরবনে বনরক্ষীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ ফাঁড়িতে যাওয়ার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে নিজেদের জানমাল রক্ষায় সুন্দরবন বন বিভাগের বনরক্ষীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিমুক্ত ফাঁড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলে-মৌয়ালদের সুন্দরবনে প্রবেশের পারমিট বন্ধ করে দেওয়াসহ সুন্দরবনে অবস্থানরত জেলে ও মৌয়ালদের দ্রুত লোকালয়ে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পর্যবেক্ষণে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগে দুটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করা হয়েছে।
সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ, খুলনা সার্কেল) মো. মঈনুদ্দীন খান জানান, সুন্দরবনে ৬৪টি টহল ফাঁড়ি, ১৬টি স্টেশন ও ৪টি রেঞ্জ রয়েছে। ফাঁড়িগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বনরক্ষীসহ ৭৭০ জন কর্মরত রয়েছেন। ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বনরক্ষীদের নিরাপদ ফাঁড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (মালামাল) ঝুঁকিমুক্ত জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এসব ফাঁড়ির কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা নিরাপদ ফাঁড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৩ মে থেকে জেলে ও মৌয়ালদের সুন্দরবনে প্রবেশের পারমিট বন্ধ করে দেয় হয়েছে। এছাড়া আগে থেকে যেসব জেলে ও মৌয়াল সুন্দরবনে অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত লোকালয়ে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দীন খান আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পর্যবেক্ষণের জন্য সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগে পৃথক দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড় থেমে যাওয়ার পর সহকারী বন সংরক্ষকদের (এসিএফ) নেতৃত্বে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ২৬ মে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ টহল ফাঁড়ির কর্মীদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। এসব টহল ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী ফাঁড়ির কর্মী ওইসব ফাঁড়ির আওতাভুক্ত এলাকার প্রতি নজর রাখবেন।