সুন্দরবনে ‘বাঘের আক্রমণ’, নিখোঁজ তিন জেলেকে খুঁজছে বিজিবি-বিএসএফ
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই জেলে নিহত হয়েছেন বলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে সংবাদ দিয়েছেন এক জেলে। এরপর থেকে ওই জেলেও নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। তবে তাদের সন্ধান পেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও ভারত- দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, যথাক্রমে বিজিবি ও বিএসএফ।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী এলাকার বিপরীতে ভারতের পাইজুরি নামক খালে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনোমিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। অন্যদিকে, মোবাইল ফোনে খবর জানানোর পর নিখোঁজ ব্যক্তি হলেন সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১)।
শ্যামনগন উপজেলার নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মৎস্যজীবী আবু মুসা তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান, 'রতন ও মিজানুরকে বাঘে ধরে মেরে ফেলেছে। আমি বেঁচে আছি।' তারপর থেকে আবু মুসার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। তারা তিনজন একসঙ্গে ছিলেন।
তিনি বলেন, 'ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন ভারতের অংশের মধ্যে পাইজুরি (ম্যাপে নেই) খাল এলাকায়। ওই একটি মাত্র ফোনকলই ঘটনার মূলসূত্র। এছাড়া এখনো কোনো সূত্র আমরা পাইনি। সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা বলছেন, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে তারা আন্তরিক হয়ে অনুসন্ধান শুধু করছেন বলে জানিয়েছেন।'
'এদিকে, বিজিবির পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের এলাকার মধ্যে অনুসন্ধান করছি। প্রকৃতঅর্থে ওই তিন জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন কি না, সেটি এই মুহূর্তে বলা যাবে না,' বলেন ওই বিজিবি কর্মকর্তা।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, 'রাত থেকে এখনো নিখোঁজ তিন জেলের সন্ধান মেলেনি। রহস্য বাড়ছে। ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাচ্ছি আমরা। মাছ বা কাঁকড়া ধরতে গেলে ভারতের অভ্যন্তরে যাবে কেন?'
কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, 'ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। ভারতে আমরা প্রবেশ করতে পারছি না। এ ঘটনায় এখনো কোনো রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়নি।'