হবিগঞ্জ লকডাউন নিয়ে এমপি ও প্রশাসনের দুই মত
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হবিগঞ্জে কঠোর হয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় এমপি জানিয়েছেন হবিগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। তবে বাইরের কেউ আসা এবং ভেতর থেকে কেউ জেলার বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে চেকপোস্ট।
এ দিকে মঙ্গলবার দুপরে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ঘোষণা দিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যেহেতু হবিগঞ্জে এখনো কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি- তাই করোনা থেকে জেলাকে মুক্ত রাখতে জেলার বাইরে থেকে জেলার ভেতর প্রবেশ এবং জেলার ভেতর থেকে বাইরে কেউ যাওয়ার ব্যপারে আজ থেকে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে প্রশাসন।
এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির, সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর পরপর হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির ঘোষণা দেন, এই জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং মানুষকে সচেতন করতে হয়তো এমপি মহোদয় এই ঘোষণা দিয়েছেন। হবিগঞ্জে এখনো করোনার রোগী পাওয়া যায়নি তাই হবিগঞ্জকে মুক্ত রাখতে আমরা কঠোর হয়েছি। সবপ্রবেশ পথে চেকপোস্ট বাড়ানো হচ্ছে।
সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর জানান, হবিগঞ্জ থেকে করোনা সন্দেহ ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগে ৩২ জনের রেজাল্ট এসেছে। তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস মিলেনি।
লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমপি মহোদয় কঠোর হতে বলেছেন। হবিগঞ্জের স্বার্থে তাই চেকপোস্ট বাড়ানো হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।