হেফাজত তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার যত ক্ষতি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত পৌরসভা কার্যালয় ও পৌরমিলনায়তনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে কর্মী-সমর্থরা।
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে পৌরসভার সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ৭দিন ধরে ময়লা-আবর্জনাও অপসারণ করতে পারছেনা পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে গতকাল শুক্রবার (২ এপ্রিল) একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে পৌরসভা কার্যালয়ের ২০টি স্টিলের আলমিরা, ২৫টি কাঠের আলমিরা, ১৮টি কম্পিউটার, ৫টি ল্যাপটপ, ৪টি ফটোকপিয়ার মেশিন, ৩৪টি টেবিল, ৭টি সেক্রেটারিয়েট টেবিল, ১১৫টি চেয়ার, ৫টি এসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও স্বাস্থ্য শাখার ১২টি ডিপ ফ্রিজ, ৪টি সাধারন ফ্রিজ, ভ্যাকসিন, সিলিং ফ্যান, স্টোরে সংরক্ষিত ১০ হাজার এলইডি বাতি, ৩ হাজার বাতি সেড, ৫০ কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ১৬টি গাড়ি, ৩টি রোড রোলার, ১টি মশক নিধন গাড়িসহ আরও অনেক জিনিসপত্র ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার মালামাল, স্টেশনারি মালামাল, বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের পে-অর্ডারসহ নথি, চেক রেজিস্টার, ইস্যু রেজিস্টার, ক্যাশ বই, অ্যাসেট রেজিস্টার, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাক্তিগত নথি ও সার্ভিস বই, সকল রেজিস্টার, ঠিকাদারদের বিল-জামানতের নথিসহ বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে।
পৌরসভার মালিকানাধীন উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আগুনে লাগিয়ে দেয় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা। এতে মিলনায়তনের ৫'শ চেয়ার, ২০ সেট সোফা, ২০টি ৫ টনের এসি, ১০টি ২টনের এসি এবং ১৫০টি সিলিং ফ্যান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির জানান, গান পাউডার ও পেট্রোল ঢেলে সবকিছু জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা।