১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারওয়ান বাজারে আরও একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আরো একটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হচ্ছে। ১ লক্ষ ২০ হাজার বর্গফুট স্পেস বিশিষ্ট ১২ তলা এই গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে ০.৪৭ একর বরাদ্দ প্রদান করেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ (সাবেক জনতা টাওয়ার) সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়। এ ভবনের পাশেই হচ্ছে নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। নাম দেয়া হয়েছে 'ভিশন ২০২১ টাওয়ার-২ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক'।
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইটি সেক্টরে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্পেসের ব্যাপক চাহিদা। এ চাহিদা পূরণে নতুন এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এটি নির্মাণ করা হবে সবুজ ভবন নির্মাণের সব শর্ত মেনে।
তিনি বলেন, ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বর্তমানে ১৯টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও এখানে ১৫টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ০.৪৭ একর জমি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অনুকূলে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশের আইটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে এখানে আন্তর্জাতিক মানের ভবন নির্মাণ হবে। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আইটি কোম্পানি এবং সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পাবে। ফলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অর্থায়ন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণে ৩৫৩.০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় 'ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন' নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) সৈয়দ জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।