২০২২ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট স্থগিত
দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের কারণে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
গত ১৪ জুন থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অ্যসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু ছিল। এরমধ্যেই গ্রেডভিত্তিক চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি গত ১৫ জুলাই এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা দেন । ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুকূলে এলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চলতি বছরের এসএসসি ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ের ওপর শুধু নৈর্বাচনিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ মাস থেকে শুরু করে আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দেয়া হবে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট।
তবে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে ঈদুল আজহার আগে প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট কাজ দেওয়া হয়েছে।
তবে নির্ধারিত তারিখেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি না হলে পূর্ববর্তী পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯শে জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহামারির কারণে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নি।
গত বছর সরকার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষাও নেয়নি।
এই দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়; অন্যদিকে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়।
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীকেই অটোপাস প্রক্রিয়ায় পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়।