২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পিইসি পরীক্ষায় বহিষ্কৃতদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) অংশ নিয়ে নানা কারণে বহিষ্কৃত হওয়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফর প্রকাশ করতে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এবছর পিইসি পরীক্ষায় কতজন শিশুকে বহিস্কার করা হয়েছে, এই তথ্য না দেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী ৮ জানুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর স্বপ্রনোদিত হয়ে এ সংক্রান্ত রুল জারি করেছিলেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বহিষ্কৃত পরীার্থীদের পরীা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ চার জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
একটি দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর 'পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে এ আদেশ দেন আদালত।
প্রতিবেদনটি নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তার সঙ্গে ছিলেন এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লা ফয়েজ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৮ সালের নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’র বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেন, ‘যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এ বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা তার মানসিক জগতে প্রভাব ফেলবে। তাদের বহিষ্কার করা অনুচিত। বহিষ্কার না করে অন্য উপায় অবলম্বন করা যেতে পারতো।’