ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আশঙ্কা, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলবে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, "মোটরসাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন এবং দূরের যাত্রায় এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ। তবু মানুষ কাছের ও দূরের যাত্রায় মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে।"
বিবৃতিতে বলা হয়, "এই প্রেক্ষাপটে, আমরা ঈদযাত্রায় শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকদের নিরাপদ গতিসীমায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এটা না করলে ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।"
"রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মনে করে, একটি টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে ক্রমান্বয়ে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করতে হবে। একই সাথে কিশোর-তরুণরা যাতে মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সেজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিতসহ পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।"
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেমরা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, তারা চেকপোস্টগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন, তবে আগের ঈদের তুলনায় মোটরসাইকেল সংখ্যায় কম।
তিনি বলেন, "মহাসড়কে মোটরবাইক চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বললেই চলে। শুধুমাত্র যদি রাইডাররা কোনো নথি সরবরাহ করতে পারে বা হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার জন্য তার জরুরি প্রয়োজন ব্যাখ্যা করতে পারে, তখনই কেবল তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পর ঈদ-উল-আজহার আগে এবং পরেও সাত দিন মোটরসাইকেলের আন্তঃজেলা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সাত দিন এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে না।
গত ৩ জুলাই সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরি সভায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূর।
তিনি টিবিএসকে বলেন, "ঈদের তিন দিন আগে, ঈদের তিন দিন পর এবং ঈদের দিন—এই সাত দিন মোটরসাইকেল ও রাইড শেয়ারিং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। এছাড়া এই সময় সারা দেশের মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।"
জরুরি কারণে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হলে পুলিশকে জানাতে হবে জানিয়ে সচিব বলেন, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে এক জেলা থেকে মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে।
তিনি বলেন, ঢাকার মোটরসাইকেল ঢাকায়ই চালাতে হবে। চট্টগ্রামের মোটরসাইকেল চট্টগ্রামে চালাতে হবে এবং বরিশালের মোটরসাইকেল বরিশালেই চালাতে হবে।