ভুয়া কোভিড রিপোর্ট: ডা. সাবরিনাসহ জেকেজির আরো সাতজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড
ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট ইস্যু করার দায়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ সাতজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবরিনার স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম রোমিও, হুমায়ুন কবির হিমু, হিমুর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, জেবুন্নেসা রিমা, আবু সাঈদ চৌধুরী ও বিপ্লব দাস।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এর আগে গত ২৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন হিসেবে ১৯ জুলাই ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
২০ এপ্রিল একই আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া সাক্ষ্য দেওয়ার পর প্রসিকিউশন সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে।
এ মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথকেয়ার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড সনাক্তকরণের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। কিন্তু এসব নমুনা পরীক্ষা না করেই প্রায় ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয় তারা।
একই দিনে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। পরে তেজগাঁও থানায় মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই বছরের ৫ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর দায়ের করা চার্জশিটে অন্য আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন- জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখ করা অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনসারীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গত আগস্টে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন।
আসামিদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও আদালতে দোষ স্বীকার করে সাক্ষ্য দেন।