পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় কমাতে বলছে ইউজিসি, উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্টে না এনবিআরের
খরচ কমাতে দাপ্তরিক কাজে কাগজ ও সরঞ্জামাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্টসহ ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার এক আদেশে এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তরকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাব খাতে বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার না করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবারই এ নির্দেশনাটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউজিসি।
এনবিআর বলেছে, অফিস কক্ষে অবস্থান না করলে বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, এসি, টেলিভিশন ইত্যাদি যন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মিতব্যয়িতা নিশ্চিত করতে হবে। অফিস কক্ষ, অফিস করিডর, সম্মেলন কক্ষসহ অন্যান্য স্থানে বাতি না জ্বালানো, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
গাড়ির জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য গাড়িতে এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা ও গাড়ির জ্বালানি খরচ বিদ্যমান খরচ থেকে ২০ শতাংশ কমানো, সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করা, বিদেশে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা; দাপ্তরিক কাজে কাগজসহ সরঞ্জামাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা (যেমন- কাগজের উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় প্রিন্ট পরিহার করতে হবে)।
অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন বা পুরোনো গাড়ির জায়গায় নতুন গাড়ি কেনাসহ সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ এবং প্রকল্পের জন্য সম্মানী বরাদ্দ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইউজিসি বলছে, জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, আসবাব খাতে বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ অর্ধেক ব্যয় করা যাবে। আর জ্বালানি খাতে বরাদ্দ করা টাকার সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ করা টাকার ২৫ শতাংশ সাশ্রয় করতে হবে।
এতে বলা হয়, উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব প্রকার প্রকল্প বা কর্মসূচির ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ করা টাকা থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না। আর সভা, সেমিনার, কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চ্যুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।