১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করলো পাম্প মালিকেরা
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাম্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তবে এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের দাবি পূরণে কোনো সমাধান দিতে ব্যর্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও ধর্মঘটে যাবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাজমুল হক। সোমবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
এর আগে জ্বালানি তেল বিক্রিতে প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ দাবি পুরণ না হলে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে প্রতিদিন ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের হুমকিও দিয়েছিল তারা।
২০১৩ সালে অকটেন এবং পেট্রোলের জন্য ৪.৭৫% এবং ডিজেলের জন্য ৩.২২% জ্বালানী বিক্রয় কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছিল, জানান মোহাম্মদ নাজমুল হক।
"২০১৪ সাল থেকে আমরা কমিশন বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। বরং ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর আমাদের কমিশন আরও কমানো হয়েছে। নতুন করে পেট্রোল ও অকটেনের জন্য ৩.৭৮% এবং ডিজেলের জন্য ২.৫৬% কমিশন নির্ধারণ করা হয়েছে", বলেন মোহাম্মদ নাজমুল হক।
পাম্প মালিকেরা আরও দাবি করেছেন, তেল বিক্রির কমিশন তেলের মূল্যের ওপর শতকরা হার বা পার্সেন্টেজ ভিত্তিতে করতে হবে। সেই সাথে তেলের পরিমাপে কারচুপি রোধে মনিটরিং বা অভিযান বিপিসি বা বিপণন কোম্পানি প্রতিনিধির উপস্থিতি ব্যতীত পরিচালনা করা যাবে না।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোনো দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান পাম্পের কাগজপত্র চেক করার নামে পাম্প মালিকদের হয়রানি করতে পারবে না, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করতে হবে, ট্যাংক লরির কাগজপত্র শুধুমাত্র ডিপোগেটে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ট্যাংক লরি চালকদের জন্য আলাদা পার্কিং স্ট্যান্ড ও কাউন্টার করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
একই প্রেস ব্রিফিংয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, পাম্প মালিকেরা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালিত মোবাইল কোর্টের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা অভিযোগ করেছে, এ ধরনের কার্যক্রম তাদের নিজেদের কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।
তবে যেহেতু কোম্পানিগুলো বিপিসির অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, তাই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার এখতিয়ার তাদের রয়েছে। কিন্তু সংস্থাগুলোর মধ্যে যোগাযোগের ফাঁক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন।
এবিএম আজাদ মনে করেন, শুধুমাত্র আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান বের করা সম্ভব।