‘ব্যয় বৃদ্ধি, ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশঙ্কা প্রভৃতি হুমকির মুখে ফেলছে কৃষি খাতকে’
'কৃষি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি খাতে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। কৃষি উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার বিষয়ে আশঙ্কাও বাড়ছে', বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) আয়োজনে 'এগ্রারিয়ান ট্রানজিশন অর রুরাল ট্রান্সফরমেশন? ফ্যাক্টরস এন্ড ট্রেন্ডস অফ চেঞ্জ ইন ভিলেজ বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
লন্ডনের সোয়াস ইউনির্ভাসিটির প্রফেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস স্বপন আদনান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, 'ব্রিটিশ আমল থেকে ধর্ম, জাতীয়তা ও ভাষা নিয়ে এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সংঘাত চলে আসছে। এই সংঘাতের পাশাপাশি দুর্নীতির ব্যাপকতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেও ধারণার চাইতে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'কৃষি খাতের লভ্যাংশ থেকে বিনিয়োগ করে শিল্পায়নের অর্থনৈতিক ধারণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকরা ক্রমেই ভূমিহীন হচ্ছেন। তাদের তরুণ সন্তানদের মধ্যে কৃষির প্রতি অনাগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।'
বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, 'দেশে কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসলেও এ খাতে ৪০ শতাংশের বেশি শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান হচ্ছে। কোভিড সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি চলমান যুদ্ধজনিত সংকট মোকাবেলায়ও কৃষি খাত বড় ভূমিকা রাখছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগে একটি ফসল হতো এমন জমিতে এখন তিনটি ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি শাকসবজিও ফলানো হচ্ছে।'
মোট জমির ৯০ শতাংশের বেশি চাষে পাওয়ার টিলার ব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'মূলত যান্ত্রিকীকরণের সুবাদেই পল্লী অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে।'