নূরজাহান গ্রুপের ৬ কর্ণধারের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ
একটি ঋণখেলাপির মামলায় চট্টগ্রামের নূরজাহান গ্রুপের ছয় কর্ণধারের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাউথইস্ট ব্যাংকের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আসামিরা দেশত্যাগ করেছেন কি না, সে বিষয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত বিশেষ পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
যে ছয়জনের পাসপোর্ট জব্দ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—নূরজাহান গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেড ও তাসমিন প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক ও নূরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসমিন মনোয়ার প্রকাশ, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের পরিচালক টিপু সুলতান, নূরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দিন, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের পরিচালক ইফতেখার আল-জাবের ও মো. ফরহাদ মনোয়ার।
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রামের জুবলী রোড শাখার পক্ষ থেকে অর্থঋণ আদালতে গত বুধবার একটি আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ায় পর তারা পলাতক। এছাড়া তাদের বিদেশগমন প্রতিরোধ করার জন্য বা বিদেশ থেকে আগমনের সময় তাদের পাসপোর্ট জব্দ করে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আদালত এ নির্দেশ দেন।
একসময়ের ভোগ্যপণ্য ব্যবসার অন্যতম জায়ান্ট চট্টগ্রামভিত্তিক নূরজাহান গ্রুপ। ভোজ্য তেল, গম, মসলাসহ ভোগ্যপণ্যে আধিপত্যের সঙ্গে ব্যবসা করলেও আগের সেই ব্যবসা এখন আর নেই। গত কয়েক বছর ধরে গ্রুপটির ব্যবসা সংকুচিত হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেনার পরিমাণ। এর মধ্যে গ্রুপটির কাছে পাঁচ ব্যাংকের দেনার পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে গ্রুপটির ভোগ্যপণ্য আমদানির ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।