বাংলাদেশের মিডিয়া যৌন হয়রানির অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সক্রিয় নয়: গবেষণা
কর্মক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে যৌন হয়রানির বেশিরভাগ অভিযোগ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয় না। এমনকি এর প্রাতিষ্ঠানিক সমাধানও করা হয় না বলে জানিয়েছে সুইডেনভিত্তিক ফোজো মিডিয়া ইনস্টিটিউট।
মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে গণমাধ্যমে জেন্ডার সমতা বিষয়ক এই বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সুইডেনের লিনিয়াস ইউনিভার্সিটির ফোজো মিডিয়া ইনস্টিটিউট' ও গুটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম মিডিয়া এন্ড কমিনিউকেশন বিভাগ যৌথভাবে এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেছে। জেন্ডার সমতার বিষয়টি দেশের জাতীয় নীতিমালা কিংবা গণমাধ্যমের স্বেচ্ছা-নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কী ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানতে গবেষণাটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, সুইডেন ও জিম্বাবুয়েতে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। জেন্ডার সমতা নিয়ে বৈশ্বিক এই গবেষণায় বাংলাদেশ অংশের দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক ও গবেষক কুররাতুল আইন তাহমিনা। তিনি বাংলাদেশ অংশের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
প্রতি দশটি জাতীয় মিডিয়া নীতির মধ্যে পাঁচটিতে লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত বিধানের নমুনা এই গবেষণায় নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শুধুমাত্র একটি ছোট অংশে লিঙ্গ সমতা, সমান সুযোগ বা লৈঙ্গিক বৈচিত্র্য নীতি রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে জেন্ডার সমতা হিসেবে মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারীদের জন্য আলাদা শৌচাগার, রাত্রিকালীন ডিউটি না দেয়া ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও বাংলাদেশে ২০০৫ সালে ২৬ শতাংশ সংবাদের বিষয়বস্তু হিসেবে শুধু নারীদের উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে ২০২০ সালে এসে ১৬ শতাংশ সংবাদের বিষয়বস্তু নারী।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞ হিসেবে ২০০৫ সালে ৯ শতাংশ নারী সংবাদে মতামত দিয়েছেন। ২০২০ সালেও সেই সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন হয়নি।