বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদী দখলমুক্তের কাজ হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি- এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি- নদীকে আলোচনায় আনতে হবে; নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে। জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে; নদীর সঙ্গে চলে এসেছে- এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন। নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।'
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত 'রাইটস অব রিভার্স' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'নদীর নাব্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন; সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল এবং রাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে- আজকে নদীর নাব্যতা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা কমে গেছে; দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।'
'নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণরোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেগুলো হয়নি। আরো বেশি দূষণ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদী তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি।'
নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছি।'
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।