নভেম্বরের আগে লোডশেডিং কমার আশা নেই: নসরুল হামিদ
গ্যাস আমদানি করতে না পারায় আগামী নভেম্বর মাসের আগে বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির কোনো উন্নতির আশা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। ঢাকা ও এর আশেপাশে বর্তমানে দিনে ৫-৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় সরকারকে কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বিকল্প-ভিত্তিতে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'লোডের কারণে আমরা দিনের বেলা কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখছি। আবার দিনে যেগুলো চালাচ্ছি সেগুলো রাতে বন্ধ রাখছি। এজন্য লোডশেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই মাসটা একটু কষ্ট করতে হবে। আশা করছি, সামনের মাস থেকে (নভেম্বর) আরেকটু ভালো হবে।'
এর আগে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন নসরুল হামিদ বলেন। বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, সম্প্রতি শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই সরকার বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
করোনার পর শিল্পকারখানায় উৎপাদন বেড়ে গেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভিন্ন বলে প্রতিমন্ত্রী জ্বালানি সংকট আরও দীর্ঘ হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন।
জ্বালানি ও গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।