৬ নভেম্বর থেকে শুরু এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা, এবার পরিক্ষার্থী ১২ লাখের বেশি
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এ বছর সারাদেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯,১৮১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে বলে আসা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী জানান, গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী।
দীপু মনি বলেন, "রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী, পরিদর্শক, মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের মনিটরিং টিম, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তারা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবে।"
"প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে," যোগ করেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারির আগে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সীমা ছিল তিন ঘণ্টা।
যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই সেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের সৃজনশীল ও ১৫ নম্বরের অবজেকটিভ পরীক্ষা হবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে ১৫ নম্বরের অবজেকটিভ পরীক্ষার সাথে সৃজনশীল পরীক্ষা হবে ৩০ নম্বরের।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সবসময় ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও করোনার জন্য এর সময়সূচী পিছিয়ে দেয় সরকার।
মহামারির কারণে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। গত বছরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তিনটি ইলেকটিভ বিষয়ে পরীক্ষা দেয়।
এর আগে, ২০২০ সালে মহামারি শুরু হলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেবছর কোনো এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাস করে যায়।