পাহাড় কাটা: কক্সবাজারে আ.লীগ নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে দেড় কোটি ঘনফুট পাহাড় কাটার ঘটনায় ১৩ মামলার আসামি ওবাদুল করিমকে প্রধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের তাজমহলের ঘোনা, ঘোনারপাড়া, ছনখোলা ও পশ্চিম পাড়া এলাকায় ওবায়দুল করিমের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র এক বছর ধরে আনুমানিক ১০ একর আয়তনের সরকারি একাধিক পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাক ভর্তি করে দেড় কোটি ঘনফুট বালি ও মাটি বিক্রির অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে সরেজমিন একাধিকবার পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার ঘটনাটি পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল, কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলন ও এক সাংবাদিক লিখিত-মৌখিক অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং গণমাধ্যমের নজরে আনেন।
মামলার বাদি পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করবে। তদন্তে সবকিছু চলে আসবে। যারা জড়িত তাদের কেউ বাঁচার সুযোগ নেই।'
মামলায় কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, তার ভাই মামুন, ছনখোলার সুলতান আহমদ মেম্বারের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, তোতকখালীর আমিন চেয়ারম্যানের পুত্র জোসেফ, তোতকখালীর সাবেক ইউপি সদস্য তাজমহল, হানিফ সিকদারের পুত্র কায়েস সিকদার, দক্ষিণ খুনিয়াপালং এর নুর আহমেদের পুত্র নুরুল কবির বাবুল, ছনখোলার ঘোনারপাড়ার মৃত আমির হোসেনের পুত্র লুৎফর রহমান, মৃত আবু তাহেরের পুত্র সোনা আলী, পরানিয়াপাড়ার সোনা মিয়ার পুত্র কাজল, নুরুল আলমের পুত্র মনিরুল ইসলাম মুন্না, খুরুশকুল লামাজিপাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র নাছির উদ্দিন, উত্তর পরানিয়াপাড়ার আবু তালেব ভূট্রোর পুত্র মো. সোহেল, তোতকখালীর মৃত সোনা মিয়ার পুত্র সিরাজ, উত্তর পরানিয়াপাড়ার মোহাম্মদের পুত্র শাহজাহান, নয়াপাড়ার মাহমুদুল হকের পুত্র হারুন, ডিকপাড়ার জাফর আলমের পুত্র মোস্তাক আহমদ, পরানিয়াপাড়ার গুরা মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন ও নয়াপাড়ার সুলতান আহমদের পুত্র পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল কাদেরকে আসামি করা হয়েছে।