সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ১০০, বেসরকারিতে ৩০০ টাকা নির্ধারণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে ১০০ এবং বেসরকারিতে ৩০০ টাকা ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে 'কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পর্যালোচনা' শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডেঙ্গু রোগীদের এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা ফি নেওয়ার বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। একইসঙ্গে, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ টাকা নিতে বলা হয়েছে'।
যদিও শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশে যখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছিল– তখন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ১৭০ জনে পৌঁছেছে
রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ রোগী মারা গেছে। এনিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭০ জনে।
রোববার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯০৮ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, নতুন রোগীদের মধ্যে ৪৭৬ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৪৩২ জনকে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে রাজধানীতে ২,০৪২ জনসহ মোট ৩,৩৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২১ জুন দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ১০৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ৩৯ হাজার ৫৬৯ জন রোগমুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষটি।
২০০০ সালে সরকার প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগের রেকর্ড রাখতে শুরু করে, এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরে। ২০০০ সালে ডেঙ্গুতে ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত ও ৯৩ জনের মৃত্যু নিবন্ধিত করা হয়েছিল।
তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও প্রাণহানি হয় ২০১৯ সালে। সেবছর মোট ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়, আর মারা যান ১৭৯ জন।