বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি তদন্তে ৩ মাসের সময় বেঁধে দিলেন হাইকোর্ট
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ৬১ মামলার তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আদালত বলেছেন, আদেশ অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারলে দুদকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বেসিক ব্যাংকের আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার তিন মামলায় ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আবুল হোসেন এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী শান্তিনগর শাখার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংক থেকে বিভিন্নভাবে ৩৬২ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার টাকা আত্মসাৎ হয়।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত হাইকোর্টের পৃথক তিনটি বেঞ্চ পৃথকভাবে তিনবার এই মামলাগুলোর তদন্ত তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার আদেশ দিলেও সেটি কার্যকর হয়নি।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। দেশের ইতিহাসে যা একক বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারি।
২০১৫ সালে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে ৫৬টি মামলা করে দুদক। তবে বাচ্চু বা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই মামলায় আসামি হিসেবে দেখানো হয়নি।