সোহরাওয়ার্দীতে ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করতে চলছে রোড ডাইভারশন।
যানজট এড়াতে সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল, হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর, ঢাবি মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল, ঢাবি ভাস্কর্য এবং ভিসি চত্বর ক্রসিং-এ ট্রাফিক ডাইভারশনের কাজ অব্যাহত থাকবে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, "আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নতুন কমিটি দেওয়া হবে।"
জাতীয় নির্বাচনের আগেই ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা হতে চলেছে।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও গত প্রায় দুই দশকে সংগঠনটির বিরুদ্ধে নানান অপকর্ম এবং বিতর্কিত কার্যক্রমের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ থেকে বেহাই পায়নি বর্তমান কমিটিও।
মতাদর্শগত বিরোধ, কমিটি বাণিজ্য ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগও উঠেছে জয়-লেখক কমিটির বিরুদ্ধে। কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলের সভা করার দাবি থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের এর ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে বছরের জুলাইয়ে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি হন এবং গোলাম রাব্বানী হন সাধারণ সম্পাদক। তবে কিছু সময়ের মধ্যেই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয় তাদের।
পরে আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয়কে সভাপতি এবং লেখককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।