জামিন আবেদন নাকচ, কারাগারে ফখরুল-আব্বাস
রাজধানীর নয়াপল্টনের সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার বিকেলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।
অ্যাডভোকেট মাসুম হোসেন তালুকদার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরক মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই নেতাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন পুলিশকে।
এর আগে গত রাতে নয়াপল্টনে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিএনপির দুই সিনিয়র নেতাকে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পরে বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে দলটির আড়াই হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সাদাপোশাকে পুলিশ মির্জা ফখরুলকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে এবং মির্জা আব্বাসকে দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বিএনপির ৪৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিল থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামানসহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
এ ঘটনার পর নয়াপল্টন এলাকা থেকে বিএনপি নেতা রিজভী, এ্যানি, শিমুল বিশ্বাস, আমানউল্লাহসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি ৭২০ বিএনপি কর্মী এবং বেনামী ২,৪০০ জনের বিরুদ্ধে রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় চারটি মামলা করে।
এখন পর্যন্ত ৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।