পঞ্চগড়ে ‘পুলিশের গুলিতে’ বিএনপি নেতার মৃত্যু
পঞ্চগড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এক স্থানীয় নেতা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি দলীয় নেতাদের মুক্তিসহ দলের ১০ দফা দাবিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে গণমিছিলের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মিছিলের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন (৪৫) ময়নাদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, পুলিশ তাদের মিছিলে গুলি চালালে আব্দুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।
বিএনপির নেতারা আরও দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন আবদুর রশিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি। "আমরা ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি," বলেন তিনি।
এর আগে, ১০ ডিসেম্বর তাদের ঢাকা বিভাগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি মারা যান।
এরপর ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হন।
২২ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়া (২২) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে ৩১ জুলাই পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন ভোলা জেলা শাখার সভাপতি নূর-ই-আলম। ৩ আগস্ট রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।